২৪খবরবিডি: 'কক্সবাজারে ২৪টি দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের রয়্যাল টিউলিপ হোটেলে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।'
'এতে কয়েকটি দেশের সেনাপ্রধানসহ ২৪ দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা অংশ নেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। সেমিনার শেষে দুপুরে সেনা কর্মকর্তারা উখিয়ার কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা ও মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা শোনেন। ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সেনা কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গারা সেনা কর্মকর্তাদের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অত্যাচার-নিপীড়নের বর্ণনার পাশাপাশি নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেখানে উপস্থিত ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ ওসমান বলেন, আমরা তৃতীয় কোনো দেশ নয়, আমাদের দেশেই ফিরতে চাই। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা হোক।'
'আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট হলো অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থলবাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও
২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তারা 'রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা শুনলেন'
স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের একটি ফোরাম। আইপিএএমএস'র উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি।'
'এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সদস্যরা বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও এর করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ পেশাদারিত্বের ওপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলন অত্র অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর বৃহত্তম সমাবেশ। যার মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।'